শেখ হাসিনার শাসনামলে সংবিধান সংশোধন
পঞ্চদশ সংশোধনী:
সংবিধান আইন, ২০১১।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ উত্থাপন করেন।
২০১১ সালের ৩০ জুন গৃহীত হয়।
বিষয়বস্তু:
- সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন করা হয়।
- ৭২-এর সংবিধানের মূলনীতি পুনর্বহাল করা হয়।
- বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকৃতি দেয়া হয়।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
- সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪৫ থেকে ৫০ করা হয়।
- ৭ক ও ৭খ অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্টীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়।
- ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম তফসিল সংযুক্ত করা হয়।
- রাষ্ট্রপতি ঘোষিত জরুরি অবস্থার মেয়াদকাল সর্বোচ্চ চার মাস ধার্য করা হয়।
- ১৮ ক অনুচ্ছেদে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সন্নিবেশিত হয়।
ষোড়শ সংশোধনী:
সংবিধান আইন, ২০১৪।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক উত্থাপন করেন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গৃহীত হয়।
বিচারপতিদের অভিসংশসন বা অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য প্রধান বিচারপতি যেভাবে অপসারিত হয়; নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্মকমিশনের সভাপতি বা অন্য সদস্যকেও সেই পদ্ধতিতে অপসারণ করা হয়।
সপ্তদশ সংশোধনী:
সংবিধান আইন, ২০১৮।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক উত্থাপন করেন।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই গৃহীত হয়।
মহিলাদের সংরক্ষিত ৫০ আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়ানো হয়।