একাদশ থেকে চতুর্দশ সংবিধান সংশোধন

একাদশ থেকে চতুর্দশ সংবিধান সংশোধন
একাদশ থেকে চতুর্দশ সংবিধান সংশোধন

একাদশ সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৯১।

আইন ও বিচারমন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ উত্থাপন করেন।

১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট গৃহীত হয় ও ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর দেন।

 

বিষয়বস্তু:

এরশাদের পতনের পর প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে যোগদান বৈধ ঘোষণা করা হয়। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে উপরাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির দ্বায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন।

 

দ্বাদশ সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৯১।

প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উত্থাপন করেন।

১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট গৃহীত হয়।

 

বিষয়বস্তু:

এটি চতুর্থ সংশোধনীর ঠিক বিপরীত। এতে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপ্রধান রেখে নির্বাহী ক্ষমতা মন্ত্রিপরিষদকে দেওয়া হয় যার নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকবেন। রাষ্ট্রপতি কেবল প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ব্যতীত করতে পারবেন।

উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ ব্যাপক পরিবর্তনকে বৈধতা দিতে গণভোটের প্রয়োজন ছিল। ফলে ১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গণভোট হয়।

 

ত্রয়োদশ সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৯৬।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জমির উদ্দিন সরকার উত্থাপন করেন।

১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ গৃহীত হয়।

 

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান করা হয়।

সংসদ ভেঙে যাওয়ার পনের দিনের মধ্যে একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং অনধিক দশ উপদেষ্টা নিয়ে গঠিত হবে এ সরকার।

এ সরকার নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করবে। এ সরকারের প্রধান কাজ নির্বাচন পরিচালনা করা। এ সরকার কোন নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।

 

এই সংশোধনী

৪ আগস্ট ২০০৪ হাইকোর্ট বিভাগ এবং

১০ মে ২০১১ আপিল বিভাগ বাতিল করে।

 

চতুর্দশ সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ২০০৪।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উত্থাপন করেন।

২০০৪ সালের ১৬ মে গৃহীত হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বিধান করা হয় (অনুচ্ছেদ ৪ক)।

নারীদের জন্য সংসদে ৪৫টি সংসদীয় আসন সংরক্ষণ করে তার মেয়াদ দশ বছর বৃদ্ধি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়।

সম্পর্কিত অনুচ্ছেদসমূহ