গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
অনুচ্ছেদ ০৭ ক
সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ
(১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় –
(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে ; কিংবা
(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে-
তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।
(২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-
(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা
(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে-
তাহার এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
রাষ্ট্রদ্রোহিতা:
রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ক্ষতিকর যেকোনো কাজকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে। একে রাষ্ট্রদ্রোহ, দেশদ্রোহিতা বা রাজদ্রোহিতাও বলা হয়।
যিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ সম্পাদন করেন, তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধসমূহের মধ্যে রয়েছে:
১. অসাংবিধানিক পন্থায় সংবিধান বা তার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করা বা তার চেষ্টা করা বা তার সমর্থন করা
২. সংবিধান বা তার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করা বা তার চেষ্টা করা বা তার সমর্থন করা
এরূপ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহীকে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
অর্থাৎ কোনভাবেই সংবিধান বাতিল বা স্থগিত করা যাবে না। যা কিছুই করা হউক সব সংবিধান মেনে করতে হবে। এই অনুচ্ছেদ সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পথ রুদ্ধ করে দেয়।