ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা

ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

 

অনুচ্ছেদ ১২

ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা

ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য

(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,

(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,

(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,

(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,

বিলোপ করা হইবে।

 

ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অনুচ্ছেদ ২-এ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ধর্মনিরপেক্ষতা:

ধর্মনিরপেক্ষতা একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা রাষ্ট্রকে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড এবং প্রভাব থেকে আলাদা রাখার উপর গুরুত্ব দেয়।

ধর্মীয় স্বাধীনতা:

ধর্মীয় স্বাধীনতা হল ব্যক্তির সেই অধিকার যা তাকে তার পছন্দের ধর্ম পালনের বা না পালনের সুযোগ দেয়।

 

ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে পার্থক্য:

ধর্মনিরপেক্ষতা প্রধানত রাষ্ট্রের কাঠামো এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কিত, যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কিত।

ধর্মনিরপেক্ষতার লক্ষ্য হল রাষ্ট্রকে ধর্মীয় প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা এবং সকল নাগরিকের জন্য সমান আচরণ নিশ্চিত করা। ধর্মীয় স্বাধীনতার লক্ষ্য হল ব্যক্তির নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

ধর্মনিরপেক্ষতা সাধারণত সংবিধান এবং রাষ্ট্রের আইনে অন্তর্ভুক্ত থাকে। ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে স্বীকৃত এবং আন্তর্জাতিক আইন এবং চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত।

 

সাম্প্রদায়িকতা:

জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি হলেও আমাদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। যেমন: ধর্মের ভিত্তিতে কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ খ্রিস্টান ইত্যাদি।

এরূপ ধর্মীয়, জাতিগত বা আঞ্চলিক সংকীর্ণতাকে বলা হয় সাম্প্রদায়িকতা।

 

রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান ও অপব্যবহার করা নিষিদ্ধ। অনেকের মতে রাষ্ট্রধর্ম (অনুচ্ছেদ ২ক) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করার প্রতিচ্ছবি। তাই এটি নিয়ে বিতর্ক চলমান।

ধর্মের কারণে কোন প্রকার বৈষম্য বা নিপিড়ন করা যাবে না।

সম্পর্কিত অনুচ্ছেদসমূহ